নিরামিষ
প্রশ্নঃ- বৌদ্ধদের নিরামিষভোজী হওয়া উচিত নয় কি?
উত্তরঃ কোন বৌদ্ধকে অবশ্যই নিরামিষাশী হতে হবে- একথা ঠিক নয়। বুদ্ধ স্বয়ং নিরামিষাশী ছিলেন না। তাঁর অনুসারীদের তিনি কখনো নিরামিষাশী হতে উপদেশ দেননি। নিরামিষাশী নন এমন প্রকৃতবৌদ্ধ বর্তমানে বহু আছেন।
প্রশ্নঃ- কিন্তু আপনি যদি মাছ-মাংস খান, তাহলে পরোক্ষভাবে প্রাণীহত্যার জন্য দায়ী হচ্ছেন, যেখানে পঞ্চশীলের প্রথম শীল লঙ্ঘন করছেন, তাই নয় কি?
উত্তরঃ হ্যাঁ, একথা অনস্বীকায্য। যদি আমি মাছ-মাংস খাই, তাহলে পরোক্ষভাবে প্রাণী হত্যার জন্য দায়ী; কিন্তু নিরামিষভোজী হলেওতো পরোক্ষভাবে প্রাণী হত্যার জন্য দায়ী হতে হয়। কারণ কৃষকরা যেখানে চাষাবাদ করেন সেখানে কীটনাশক ঔষধ ব্যবহারের ফলে কীটপতঙ্গ মারা যায়। এছাড়া ব্রবহৃত চামরার বেল্ট, ব্যাগ, সাবান প্রভৃতি তৈরীতে পরোক্ষভাবে প্রাণী হত্যা করতে হয়। অতএব প্রকৃত পক্ষে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে প্রাণী হত্যা না করে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। তাই চতুরায্য সত্যের প্রথম সত্যে বলা হয়েছে যে, বেঁচে থাকাটাই দুঃখ জনক। এইজন্য পঞ্চশীলের প্রথমশীলে প্রাণী হত্যার জন্য সরাসরি দায়ী হতে বারণ করা হয়েছে। এখানে সরাসরি কথাটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রানীহত্যার বিষয়ে প্রাণীহত্যা হলো কিনা, তার চাইতে প্রাণী হত্যার জিঘাংসা চেতনাকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এটিই প্রথমশীলের কুশল ব্যাখ্যা।
প্রশ্নঃ- মহাযানী বৌদ্ধেরা তো মাছ-মাংস খান না।
উত্তরঃ ঐ কথা সত্য নয়। চিনের মহাযানী বৌদ্ধেরা নিরামীষাশী হতে গুরুত্ব দেন বটে, তবে জাপান ও তিব্বতের মহাযানী বৌদ্ধ গৃহী এবং ভিক্ষুরাও মাছ মাংস খান।
প্রশ্নঃ- বৌদ্ধদের মাছ-মাংস খাওয়া উচিত না। এই সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কি?
উত্তরঃ মনে করুন, কোন ব্যক্তি নিরামিষভোজী হওয়া সত্ব্বেও জীবনাচরনে স্বার্থপর, অসদাচারী ও সংকীর্ণ। অন্য একজন নিরামীষভোজী নন, কিন্তু সদচারী, ত্যাগী ও করুণাপরবশ। এ দুজনের মধ্যে বৌদ্ধ হিসেবে কে উত্তম?
প্রশ্নকারীঃ জীবনাচরনে যিনি সদচারী তিনি অবশ্যই অপেক্ষাকৃত উত্তম।
উত্তর দাতাঃ কেন?
প্রশ্নকারীঃ কারণ ঐ ব্যক্তি আমিষভোজী হলেও সদাচারী।
উত্তরদাতাঃ প্রকৃতপক্ষে এই বিষয়টি প্রধান বিচায্য বিষয়। একজন নিরামিষাশী যেমন সদাচারী হতে পারেন, একজন আমিষভোজী তেমনি সদাচারী হতে পারেন। বুদ্ধ তাঁর হিতোপদেশে মানুষের চেতনার উপর সবচেয়ে অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। জগত জীবনে সবকিছুই আপেক্ষিক, এখানে চূড়ান্ত ও চরম বলে কিছুই নেই। বিষয়টি শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের আপেক্ষিক সূত্রের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ যা বৌদ্ধ দর্শনে ‘মজ্ঝিমপন্থা’ সূত্র দিয়ে ব্যাখ্যাত হয়েছে।
প্রশ্নঃ- বৌদ্ধদের নিরামিষভোজী হওয়া উচিত নয় কি?
উত্তরঃ কোন বৌদ্ধকে অবশ্যই নিরামিষাশী হতে হবে- একথা ঠিক নয়। বুদ্ধ স্বয়ং নিরামিষাশী ছিলেন না। তাঁর অনুসারীদের তিনি কখনো নিরামিষাশী হতে উপদেশ দেননি। নিরামিষাশী নন এমন প্রকৃতবৌদ্ধ বর্তমানে বহু আছেন।
প্রশ্নঃ- কিন্তু আপনি যদি মাছ-মাংস খান, তাহলে পরোক্ষভাবে প্রাণীহত্যার জন্য দায়ী হচ্ছেন, যেখানে পঞ্চশীলের প্রথম শীল লঙ্ঘন করছেন, তাই নয় কি?
উত্তরঃ হ্যাঁ, একথা অনস্বীকায্য। যদি আমি মাছ-মাংস খাই, তাহলে পরোক্ষভাবে প্রাণী হত্যার জন্য দায়ী; কিন্তু নিরামিষভোজী হলেওতো পরোক্ষভাবে প্রাণী হত্যার জন্য দায়ী হতে হয়। কারণ কৃষকরা যেখানে চাষাবাদ করেন সেখানে কীটনাশক ঔষধ ব্যবহারের ফলে কীটপতঙ্গ মারা যায়। এছাড়া ব্রবহৃত চামরার বেল্ট, ব্যাগ, সাবান প্রভৃতি তৈরীতে পরোক্ষভাবে প্রাণী হত্যা করতে হয়। অতএব প্রকৃত পক্ষে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে প্রাণী হত্যা না করে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। তাই চতুরায্য সত্যের প্রথম সত্যে বলা হয়েছে যে, বেঁচে থাকাটাই দুঃখ জনক। এইজন্য পঞ্চশীলের প্রথমশীলে প্রাণী হত্যার জন্য সরাসরি দায়ী হতে বারণ করা হয়েছে। এখানে সরাসরি কথাটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রানীহত্যার বিষয়ে প্রাণীহত্যা হলো কিনা, তার চাইতে প্রাণী হত্যার জিঘাংসা চেতনাকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এটিই প্রথমশীলের কুশল ব্যাখ্যা।
প্রশ্নঃ- মহাযানী বৌদ্ধেরা তো মাছ-মাংস খান না।
উত্তরঃ ঐ কথা সত্য নয়। চিনের মহাযানী বৌদ্ধেরা নিরামীষাশী হতে গুরুত্ব দেন বটে, তবে জাপান ও তিব্বতের মহাযানী বৌদ্ধ গৃহী এবং ভিক্ষুরাও মাছ মাংস খান।
প্রশ্নঃ- বৌদ্ধদের মাছ-মাংস খাওয়া উচিত না। এই সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কি?
উত্তরঃ মনে করুন, কোন ব্যক্তি নিরামিষভোজী হওয়া সত্ব্বেও জীবনাচরনে স্বার্থপর, অসদাচারী ও সংকীর্ণ। অন্য একজন নিরামীষভোজী নন, কিন্তু সদচারী, ত্যাগী ও করুণাপরবশ। এ দুজনের মধ্যে বৌদ্ধ হিসেবে কে উত্তম?
প্রশ্নকারীঃ জীবনাচরনে যিনি সদচারী তিনি অবশ্যই অপেক্ষাকৃত উত্তম।
উত্তর দাতাঃ কেন?
প্রশ্নকারীঃ কারণ ঐ ব্যক্তি আমিষভোজী হলেও সদাচারী।
উত্তরদাতাঃ প্রকৃতপক্ষে এই বিষয়টি প্রধান বিচায্য বিষয়। একজন নিরামিষাশী যেমন সদাচারী হতে পারেন, একজন আমিষভোজী তেমনি সদাচারী হতে পারেন। বুদ্ধ তাঁর হিতোপদেশে মানুষের চেতনার উপর সবচেয়ে অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। জগত জীবনে সবকিছুই আপেক্ষিক, এখানে চূড়ান্ত ও চরম বলে কিছুই নেই। বিষয়টি শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের আপেক্ষিক সূত্রের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ যা বৌদ্ধ দর্শনে ‘মজ্ঝিমপন্থা’ সূত্র দিয়ে ব্যাখ্যাত হয়েছে।
নিরামিষ অন্ন আহার করেও যদি সুস্থভাবে বাঁচা যায় তবে লোভ পরবশ প্রাণী হত্যা করে তার মাংস আহার করা জীব কুলের প্রতি কিরূপ করুণাপরবশের উদাহরণ ? নিরামিষ আহারের দ্বারা নিজ জীবন ধারণের কোনো উপায় না থাকলে আমিষ আহার মেনে নেওয়ার মধ্যে তবুও একটা যুক্তি আছে । অনাবশ্যক প্রাণী হত্যা করে নিজের লোভ পরিপূরণ করব আবার বলব - আমি করুণাপরবশ - এইরূপ চিন্তায় কুযুক্তি খাড়া করে নিজের লোভকে যথাযথ বলে প্রমান করার কুচেষ্টা মাত্র নয় কি?
উত্তরমুছুনচাষাবাদের সময় যদি কীটপতঙ্গ মারা যায় তবে লোভ যুক্ত রসনা পরিতৃপ্তির উদ্দেশ্যে নয় । নেহাত বেঁচে থাকার জন্য অন্ন উৎপাদনের জন্য । সঠিক প্রজ্ঞার কি বলা উচিত ? আত্মরক্ষার জন্য লড়াই এ কোনো প্রাণী হত্যা তবু জ্ঞানসম্মত , কিন্তু লোভ পূরণের জন্য হত্যা অজ্ঞানতার সামিল ।
উত্তরমুছুনকমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। প্রথমেই বলি নিরামিষ আহার উত্তম। তবে বৌদ্ধধম্মে আহারটা গুরুত্বপুর্ন নয়, হত্যাটা গুরুত্বপুর্ন।
উত্তরমুছুনআহার তো চারিমহাভূত ছাড়া কিছুই নয়।